Header Ads

Header ADS

একের পর এক ধর্ষককে হত্যা করছে এজেন্ট জন। কে এই এজেন্ট জন?

Who is Agent Jon?

"গতকাল দিয়াবাড়িতে একটি মেয়েকে রাস্তায় একা পেয়ে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। আসামীর নাম 'নাজিম উদ্দিন সিরাজ'। সদর থানার ওসি শিহাব চৌধুরী জানান যে, আসামীকে ধরতে উনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই আসামীকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।"

পপকর্ন হাতে হেসে হেসে টিভিতে নিউজ দেখছে নাজিম। পাশে একটা দু লিটারের কোকের বোতল। নিজের ছবি টিভিতে দেখে সে বেশ মজা পাচ্ছে। টিভিতে সে ধর্ষকের কথা বলা হচ্ছিলো এতক্ষণ, নাজিম সে-ই মানুষটা। কিন্তু তার মনে এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ক্ষমতায় থাকা এক মন্ত্রীর ডান হাত নাজিম। তাই তার এদেশের আইন নিয়ে কখনো কোনো চিন্তা হয় নি। নির্দ্বিধায় সে আইন ভঙ্গ করতে পারে। আর সামাল দেওয়ার জন্য তার নেতা তো আছে-ই। 

গতকাল করা ধর্ষনটি ছিলো তার তেরোতম ধর্ষন। আর সপ্তম খুন। গতকাল খুন করা মেয়েটি-কে সে অনেকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু মেয়েটি সবসময় পর্দা করত, ইসলামিক নিয়মে চলতো। তাই সে প্রত্যেকবার নাজিমকে মানা করে দিতো। আর কাল...
নাজিম তার শোধ মিটিয়েছে।
হঠাৎ নাজিমের কানে ডান দিক থেকে কাঁচ ভাঙার শব্দ এলো। নাজিম সেদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না। সে যে ঘরে বসে টিভি দেখছে সেটা পুরো অন্ধকার। শুধু টিভি থেকে আসা আলো রুমটিকে আবছা আলোকিত করে রাখছে। নাজিম হাত থেকে পপকর্নটা টেবিলে রেখে ভেসে আসা শব্দের দিকে পা বাড়ালো। খুব আস্তে ধীরে সে পা ফেলে এগোচ্ছে। সে এর আগে এমনটা অনুভব করে নি। কিন্তু এখন তার মনে অজানা এক ভয় কাজ করছে। হঠাৎ তার পিছন থেকে কারো খাবার চিবানোর শব্দ এলো। সে পিছন ফিরে দেখে টিভির সামনে বসে একটা লোক তার পপকর্ন খাচ্ছে। নাজিম লোকটার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে মারলো,
- কে? এই তুই কে এখানে?
লোকটা নাজিমের কোনো কথার জবাব না দিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে পপকর্ণ খাচ্ছে। নাজিম বিরক্ত হয়ে লোকটির দিকে এগিয়ে গেলো। দেখলো লোকটার মুখে কালো একটা মাস্ক পরা। সে লোকটির সামনে গিয়ে বললো,
- এই, কে তুই? বল কে তুই? কথা বলছিস না কেনো?
লোকটা এবার প্রথমবারের মত নাজিমের দিকে তাকালো। সে একবার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাকে দেখলো। তারপর হঠাৎ তার পা দিয়ে নাজিমের তলপেটে একটা লাথি মারলো। নাজিম ব্যাথায় দু হাত চিয়ে চেপে ধরলো তার লজ্জাস্থান। লোকটা উঠে দাঁড়িয়ে নাজিমের চুলের মুঠি ধরে টেনে অন্ধকারে নিয়ে গেলো। 
কিছুক্ষণ পর নাজিম দেখলো সে একটা অচেনা ঘরে বসে আছে। চারিপাশে শুধু জ্বলন্ত মোম। নাজিম সামনে তাকিয়ে দেখলো সে মুখোশ পরা লোকটা এগিয়ে আসছে। লোকটা তার সামনে এসে পকেট থেকে ছোট একটা ছুড়ি বের করলো। তারপর তার প্যান্টের চেইন খুলে তার লিঙ্গ বের করে সেখানে ছুড়িটা চালিয়ে দিলো। ঘটনা এত দ্রুত ঘটলো যে নাজিম কিছু বলার ও সুযোগ পেলো না। কিন্তু যখন তার কাটা লিঙ্গটি সে লোকটির হাতে দেখলো তখন সে চোখ বড় করে জোরে একটা চিৎকার করে উঠলো। 
মুখোশ পরা লোকটির চাপা হাসি শুনতে পেলো নাজিম। সে রাগে লোকটিকে বাজে ভাষায় গালাগাল দিতে লাগলো। লোকটি এই প্রথমবারের মত কথা বললো
- আহা! গালাগাল না দিয়ে একটু চিৎকার কর তো। শিকারের চিৎকার শুনতে কি যে আনন্দ লাগে, বলে বোঝানো যাবে না। 
- এই কুত্তারবাচ্চা, কে তুই? তোকে...তোকে আমি মেরে ফেলবো।
- হাহাহা, বন্ধী তুই, লিঙ্গ কাটলো তোর। আর বলিস আমাকে মারবি? হাহাহা। তাহলে এবার একটু ঝাল খাও।
এই বলে লোকটা পিছনের পকেট থেকে মরিচের গুড়ার একটা বোয়াম বের করলো। তারপর সেটা ঢেলে দিলো তার কাটা লিঙ্গে। 
নাজিমের যেন জান বেরিয়ে যাচ্ছে। অসহ্য ব্যাথায় তার কান, গাল, চোখ লাল হয়ে গিয়েছে। আর মুখোশ পরা লোকটা হাসছে। লোকটা নাজিমের মুখের কাছে এসে বললো,
- এই নাও বাবা, মিষ্টি খাও। 
লোকটা এরপর পিছনে গিয়ে একটা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে এলো। তারপর সব মিষ্টি ঢেলে দিলো নাজিমের গায়ে। আর এরপর, সে বের করলো একটা Jack Jumper পিঁপড়ার বোয়াম। আর সে বোয়াম খুলে দিয়ে নাজিমের মাথার উপর ঢেলে দিলো। নাজিমের চিৎকার আরো চারগুন বেড়ে গেলো। মুখোশ পরা লোকটা হাসতে হাসতে পিছন ফিরে হাঁটা আরম্ভ করলো। কিছুটা সামনে গিয়ে বললো,
- মৃত্যুর আগে আমার চেহারাটা দেখে নেয়। 
লোকটা মুখোশ খুলে তার চেহারা দেখালো নাজিমকে। নাজিম চিৎকার থামিয়ে বললো,
- কে তুই? কেন আমাকে মারতে আসছিস?
- আমার চেহারা যারা দেখেছে, তারা আর বেঁচে নেই। আর হ্যাঁ, আমি জন। এজেন্ট জন। ধর্ষকদের হত্যা করে থাকি।
ওসি শিহাবউদ্দিনের কাছে সকাল সকাল হঠাৎ ফোন এলো যে শ্যাওড়া পাড়ায় একটা বাসায় বোম্ব ব্লাস্ট হয়েছে। উনি গাড়ি করে সেখানে গিয়ে দেখেন একটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর সে বাসার ঠিক পাশের বটগাছটায় বড় বড় করে লেখা। 

"Be ready rapist, Cause
I'm Coming..."

গল্প: এজেন্ট জন (সিরিজ-১)
লিখায়: সালমান চৌধুরী সুপ্রিয়।

2 comments:

  1. ওয়াও জাস্ট মাইন্ড ব্লইং হইছে সুপু ভাই

    ReplyDelete

Powered by Blogger.